ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড

বর্তমানে জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়া অনেক সহজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেকোনো স্থান থেকে মোবাইল কিংবা কম্পিউটারের মাধ্যমে ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করা যায়। 

শুধু তাই নয়, যদি আপনার আইডি কার্ড হারিয়ে যায়, কিংবা আপনি নতুন ভোটার হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে অনলাইনে সফট কপি ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে পারবেন যেখানে ইচ্ছা সেখানেই। এই আর্টিকেলে তুলে ধরবো ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া পাশাপাশি থাকবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস। 

জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড করতে যা যা লাগবে

যখন কেউ নতুন ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করেন তখন তার কার্ড অনলাইনে নির্বাচন কমিশনের সার্ভারে প্রসেসিং হয়। যার ফলে একটি নিদিষ্ট সময় পর (কার্ড সম্পন্ন হলে) উক্ত অনলাইন কপিটি ইউজার ব্যবহার করতে পারবে (স্লিপ নাম্বার কিংবা NID Card Number জানা সাপেক্ষে)। তাহলে এই পুরো প্রসেসটি করতে যা যা লাগছে তা হলো: 

  • ১) ভোটার নিবন্ধন স্লিপ কিংবা জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বার 
  • ২) জন্ম তারিখ
  • ৩) বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা 
  • ৪) ২টি ডিভাইস (১টি ফেস ভেরিফিকেশনের জন্য অন্যটি ওয়েবসাইট ব্রাউজের জন্য) 
  • ৫) একটি মোবাইল নাম্বার (OTP ভেরিফিকেশনের জন্য)

ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার নিয়ম

খুব অল্প কিছু কথা বললে, ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার জন্য বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে লগিন করতে হবে। যদি আগে থেকে কোনো একাউন্ট করা না থাকে তবে নতুন একাউন্ট করে নিবেন। এরপর কিছু ধাপ অতিক্রম করার মাধ্যমে প্রোফাইল থেকে আইডি কার্ডের সফট কপি ড়াউনলোড করতে পারবেন। নিম্মে উক্ত ধাপ গুলো একেক করে তুলে ধরা হলো: 

ধাপ ১: Nidw ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন

প্রথমেই বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। এটা গুগলে সার্চ করুন NIDW অথবা সরাসরি প্রবেশ করুন এই লিংকে

যেহেতু নতুন ভোটার হলে পূর্বে একাউন্ট না থাকাটাই স্বাভাবিক তাই এখানে এসে “রেজিস্ট্রার করুন” বাটনে ক্লিক করুন। 

ধাপ ২: ফরম নাম্বার/এনআইডি নাম্বার প্রদান করুন

একাউন্ট রেজিষ্টারের ধাপে NID Number অথবা Form Number এবং জন্ম তারিখের প্রয়োজন হবে। ৩ সেকশনের কিছু বক্স দেখতে পারবেন।

যার প্রথমটিতে ফরম নাম্বার কিংবা জাতীয় পরিচয়পত্রের নাম্বর, এরপর জন্মতারিখ এবং সবশেষে প্রদর্শিত কোডটি প্রবেশ করিয়ে সাবমিট করুন।  

ধাপ ৩: ঠিকানা নির্বাচন করুন

রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন করার এই ধাপে আপনার বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানার তথ্য দিতে হবে। 

এক্ষেত্রে বিভাগ, জেলা ও উপজেলার তথ্য গুলো দিয়ে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন। 

ধাপ ৪: মোবাইল ভেরিফিকেশন করুন 

ঠিকানা সাবমিট করা হয়ে গেলে একটি সচল মোবাইল নাম্বার দিয়ে ভেরিফিকেশন করতে হবে। এক্ষেত্রে উক্ত নাম্বারে একটি OTP যাবে যা এই বক্সে সাবমিট করতে হবে। 

ধাপ ৫: ফেইস ভেরিফিকেশন করুন

এরপর আপনাকে ফেইস ভেরিফিকেশন করতে হবে। এক্ষেত্রে NID Wallet নামক মোবাইল অ্যাপটি ব্যবহার করবেন। 

উপরের ছবিটি লক্ষ্য করুন, সেখানে মার্ক করা স্থানে ট্যাপ করে কোড কপি করে নিন। 

এরপর প্লে স্ট্রোর থেকে NID Wallet অ্যাপটি ইন্সটল করে নিন। 

ইন্সটল করা হয়ে গেলে অ্যাপটি ওপেন করুন এবং Code লিখা স্থানে ক্লিক করুন। দেখবেন আর স্ক্যানের ঝামেলা করতে হচ্ছে না, সরাসরি ফেইস ভেরিফিকেশনের সেকশনে যেতে পারবেন। 

সবশেষে স্ক্রিনে প্রদর্শিত নিয়ম অনুযায়ী ফেইস ভেরিফিকেশন সম্পন্ন করুন, এখন পরবর্তী ধাপ অগ্রসর হোন। 

ধাপ ৬: পাসওয়ার্ড সেট করুন

এই ধাপের কাজ হলো পাসওয়ার্ড সেট করা। আপনি পরবর্তী লগিনের জন্য পাসওয়ার্ড সেট করে নিবেন। এতে করে বারবার ফেস ভেরিফিকেশনের মত বিষয়ে যেতে হবে না। 

এবার সেট পাসওয়ার্ড সেকশনে ক্লিক করুন এবং ইউজার নেম এবং পাসওয়ার্ড সেট করুন। 

ধাপ ৭: লগইন করুন এবং ডাউনলোড করুন

ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার জন্য মূখ্য যে ধাপগুলো, তা অতিক্রম হয়ে গেছে। 

এবার আবার লগইন করুন এবং ড্যাশবোর্ড থেকে ডাউনলোড নামক অপশনে ক্লিক করে আপনার ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করে নিন। 

FAQ

ভোটার স্লিপ হারিয়ে গেলে কি করব

কোনো ভাবে ভোটার স্লিপ হারিয়ে গেলে অফিস থেকে নতুন স্লিপ নিয়ে আসতে হবে। আর যদি এমন হয় যে NID নাম্বার জানা আছে সেক্ষেত্রে NID Number ব্যবহার করেও একাউন্ট রেজিষ্ট্রেশন করতে পারবেন। 

এনআইডি ফরম নাম্বার ভুল বললে করনীয় কী?

NID ফরমের নাম্বার ভুল বললে উক্ত নাম্বারের পূর্বে NIDFN যুক্ত করে সার্চ করতে হবে। 

ঠিকানা ভুল দেওয়ায় একাউন্ট লক হয়ে গেছে, করনীয় কি? 

পরপর ৩ বার ঠিকানা ভুল দেয়া হলে একাউন্ট লক হয়ে যাবে। পরবর্তীতে লক খোলার জন্য ২ সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হবে। 

স্মার্ট কার্ড কিভাবে ডাউনলোড করব 

মূলত স্মার্ট কার্ডে একটি ইলেকট্রিক চিপ যুক্ত থাকে যা ফিজিক্যাল কার্ড ছাড়া ভার্চুয়াল কার্ডে দেয়া সম্ভব না। তাই স্মার্ট কার্ড নয় এনালগ কার্ড বা সফট কপি ডাউনলোড করতে হবে। 

উপসংহার

সবশেষে উল্লেখ্য যে, উপরের ধাপ গুলো একেক করে সম্পন্ন করার মাধ্যমে ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করা যাবে খুব সহজেই। যে ব্যক্তির আইডি কার্ড তাকেই কিংবা তার উপস্থিতিতে উক্ত কাজটি সম্পন্ন করতে হবে। 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top